ব্লু লাইট কি এবং এর ভয়াবহ দিক
আমরা বর্তমানে যেভাবে প্রযুক্তি ( মোবাইল , কম্পিউটার এবং বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রিক ডিভাইস ইত্যাদির ) উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি , প্রযুক্তির সেই ক্ষতিকর প্রভাব আমাদের শরীরের উপর নানা ধরণের প্রভাব ফেলছে । এই বিষয়ে হয়তো আমরা অনেকেই জানি কিন্তু মেনে চলার চেষ্টা করি । কিন্তু ভবিষ্যতে যখন এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে যখন ভুগান্তির স্বীকার হতে হয় , তখন আসলে আপচুষ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না । তাই আজ আমরা চেষ্টা করব ব্লু লাইটের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে কিভাবে নিজেদের চোখ রক্ষা করা যায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার । চলুন তাহলে নিচে ব্লু লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই ।
আজ আমরা ব্লু লাইট সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করব তা হলো নিম্নরূপঃ
- ব্লু লাইট কি
- ব্লু লাইটের ভয়াবহ দিক
- আমাদের কেন ব্লু লাইট ফিল্টার গ্লাস ব্যবহার করা উচিত
- ব্লু লাইট সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত
- কেমন ধরণের ব্লু লাইট লেন্স ব্যবহার করা ভালো
আরো পড়ুন ঃ এন্টিভাইরাস কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে ।
বিস্তারিতঃ
ব্লু লাইট কি
ব্লু লাইট হল উচ্চ শক্তিসম্পন্ন দৃশ্যমান ( এইচভি ) আলো হিসেবে পরিচিত । যা একধরণের আলোর সাথে তাকে একটি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য হিসেবে । ব্লু লাইট আলোর পরিসীমা এবং বর্ণালী , তবুও মানব চোখ এবং মানব মস্তিষ্ক সহজেই আলাদা করতে এমন সমস্ত রং ধারন করে না । কেবলমাত্র বেশ কয়েকটি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সমন্বয়ে এটি উৎপাদিত হতে পারে । ব্লু লাইটে উচ্চ শক্তি থাকে যার ফলস্বরূপ এটি উচ্চত্তর ফ্রিকোয়েন্সি তে পরিণত হয় , কিন্তু এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম ।
ব্লু লাইটের ভয়াবহ দিক
ব্লু লাইটের অন্যতম খারাপ দিক হচ্ছে এটি আমাদের ব্রনে মেলাটোনিন হরমোন রিলিজ করে , যেটি আমাদের ঘুমের ব্যঘাত ঘটায় । ব্লু লাইটের প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্য । সূর্যের পর ব্লু লাইটের উৎস হচ্ছে টিভি , কম্পিউটার , ল্যাপটপ , যে কোনো ধরণের ডিজিটাল স্ক্রিন এমনকি এলইডি লাইটও । দীর্ঘদিন ঘুমের ব্যঘাত ঘটলে আমাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে । অর্থাৎ আপনি কোথায় কি রাখছেন বা তাৎক্ষণিক কি বলতে চান , তা ভুলে যেতে পারেন । মনে রাখবেন , নিজের সুসাস্থ্যকে ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন মিনিমাম ৭ঘণ্টা ভালো ঘুম প্রয়োজন ।
আমাদের কেন ব্লু লাইট ফিল্টার গ্লাস ব্যবহার করা উচিত
ব্লু লাইট এর ক্ষতিকর রশ্মি মানুষের চোখের রেটিনার ক্ষতি করে থাকে । এছাড়া বিভিন্ন সময় এর প্রভাবের ফলে আমাদের মাথাব্যথা সহ নানা ধরণের শারিরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে । তাছাড়া বেশকিছুদিন ধরে আপনার ঘুমের ব্যঘাত ঘটলে আপনার স্মৃতিশক্তি লোপ হয়ে যেতে পারে । আর এই সব সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই আমাদের ব্লু লাইট ফ্লিল্টার গ্লাস ব্যবহার করা উচিত । এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করুন ।
ব্লু লাইট সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত
ব্লু লাইট চোখের রেটিনার কোনো ক্ষতি করে কিনা এটা এখনো মেডিকালি ভাবে প্রমাণিত নয় । এটি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে । তবে ব্লু লাইট আমাদের চোখের রেটিনার একদম গভীরে গিয়ে পৌঁছায় । যার ফলে কারো কারো মাথাব্যথা বা চোখে বেশ অস্বস্তি করতে দেখা যায় । তাই আমি নিজে থেকে মনে করি , কি প্রয়োজন একটু অবহেলার কারণে নিজের জন্য বিপদ ঢেকে আনার , এর চেয়ে তো ভালো হয় যদি আমরা এর প্রতিকার করি অর্থাৎ ব্লু লাইট প্লিল্টার গ্লাস বা চশমা ব্যবহার করি । তাছাড়া আপনি চাইলে নিশ্চয়ই বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করতে পারেন ।
কেমন ধরণের ব্লু লাইট লেন্স ব্যবহার করা ভালো
এখন মার্কেটে অনেক কোয়ালিটির প্লিল্টার লেন্স পাওয়া যায় । তবে প্রধানত দুই ধরণের প্লিল্টার গ্লাস রয়েছে - একটি হল স্বচ্ছ ( ক্লিয়ার ) এবং অন্যটি হচ্ছে হলুদাভ কালারের । যদিও হলুদ কালারের লেন্স বেশি ইফেক্টিভ , কিন্তু যারা ডিজাইনার তাদের জন্য ক্লিয়ারটাই বেশি ভালো । তাছাড়া আরেক ধরণের ক্লিয়ার গ্লাস রয়েছে যেটা স্ট্রং ব্লু লাইট পেলে অটোমেটিকালি ডার্ক হয়ে যায় , আবার ব্লু লাইট কমে গেলে অটো ক্লিয়ার হয়ে যায় । আপনি চাইলে এটিও ব্যবহার করতে পারেন । তবে আমি বলব আপনার চক্ষুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ল্যান্স ব্যবহার করা ভালো ।
আরো পড়ুন ঃ ক্লাউড কম্পিউটিং কি ।
পরিশেষে বন্ধুগণ এ কথা আমরা সবাই জানি , যে - " নিজের ভালো পাগলেও বুঝে "। তাই আমরা সবাই চেষ্টা করব ব্লু লাইটের মত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজের চোখ কে রক্ষা করার এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার । আমি এই বিষয় নিয়ে যতটুকু সম্ভব বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি । এই বিষয় নিয়ে যদি আপনাদের কোনো পরামর্শ বা মন্তব্য থেকে থাকে , তাহলে নিশ্চয়ই কমেন্ট করে জানানোর চেষ্টা করবেন ।আমি আমার যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
No comments